প্রশ্নোত্তর বিভিন্ন নিয়োগ সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর দেখুন
ফেসবুক ও ইউটিউবে যুক্ত হন:
WhatsApp-এ মেসেজ করুন.. Click Here বিকাশে পেমেন্ট করতে ক্লিক করুন.. Click Here
|
||
ক্রঃনং |
প্রশ্ন |
প্রশ্নোত্তর |
০১ |
নিয়োগ বিধিমালা |
গেজেট-২০১৮ নন মেডিক্যাল |
জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের
কার্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ |
||
নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ |
||
বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভূত
গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ (সংশোধিত) |
||
মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর,
পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন পদ নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ |
||
সরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার পার্সোনেল
নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ |
||
০২ |
একই সরকারি চাকরিতে একাধিক পদে আবেদন
করা যায়? |
আপনার আবদনের যোগ্যতা থাকলে পারবেন।তবে
না করাটাই ভালো।কারণ প্রায় পরীক্ষাগুলোই একই দিনে এক সময়ে হয়।তখন সমস্যা হয়ে যাবে।আবার
যদি কেন্দ্রগুলো আলাদা আলাদা পড়ে তাহলে তো অনেক সমস্যা।সুতরাং না করাটাই শ্রেয়।আর
যদি কোন জবে এরকম সুবিধা থাকে তাহলে কতৃকপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ করে দেন।
যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে
বলা থাকে যে, একজন ব্যক্তি কেবল মাত্র একটি আবেদন করতে পারবেন, একের অধিক আবেদন গ্রহণ
যোগ্য নয় । সেক্ষেত্রেই কেবল আপনি একাধিক আবেদন করতে পারবেন না ।
আর যদি নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না থাকে
তবে করতে পারবেন । এমন আবেদন আমিও করেছি অনেক । বরং কিছু
কিছু বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দেয় যে, একের অধিক আবেদন করতে পুনরায় আবেদন ফরম পূরণ
করার প্রয়োজন নেই, এই অপশনে ক্লিক করলেই দ্বিতীয় আবেদন করতে পারবেন ।
তবে অনেক সময় একই দিনে বিভিন্ন পোস্টে
চাকুরীর পরীক্ষা হয় । সেক্ষেত্রে আপনার যেকোনো একটা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে ।
আবার অনেক অধিদপ্তর আলাদা আলাদা তারিখে পরীক্ষা নিয়ে থাকে । তখন আপনি দুটোতেই পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ করতে পারবেন। |
০৩ |
বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কী
কী? |
বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক ৬টি। যথা: ১. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ২. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ৩. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ৪. জনতা ব্যাংক লিমিটেড ৫. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড ৬. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড |
০৪ |
সরকারি চাকরিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী
(রাজস্ব) কি ব্যাখ্যা জানতে চাই নতুন চাকরি প্রত্যাশীরা। সাথে পুরাতন বা চাকরিরত
আছেন তারও অনেকেই অস্থায়ী পদটি সম্পর্কে অবগত নই। আজ আমরা এ বিষয়টি নিয়ে জানবো।
রাজস্ব পদে চাকরির বিজ্ঞাপনে মাঝে মাঝে স্থায়ী ও অস্থায়ী পদ লেখা থাকে, আসলে এই দুটির
মধ্যে কোনো পার্থক্য কতটুকু সেটিই জানার বিষয়। |
যখন কোনো একটা মন্ত্রনালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর
ইত্যাদি চালু করা হয়, তখনই ঐ দপ্তরে কতটি পদ থাকবে, কোন পদে কতজন লোক নিবে সেগুলো
নির্ধারণ করা হয়! অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি সময়ই সে প্রতিষ্ঠানের জনবলের একটি
জনবল কাঠামো বা অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করা হয় সেগুলি হচ্ছে স্থায়ী পদ। কিন্তু কোনো
কোনো দপ্তরে পরবর্তীতে কাজের বাড়তি চাপের জন্য অধিক সংখ্যক লোকের প্রয়োজন পড়ে, আর
সেই অতিরিক্ত লোক নেয়ার জন্য যে পদগুলো নতুন করে সৃষ্টি করা হয়, সেগুলোই মূলতঃ অস্থায়ী
পদ! সুতরাং রাজস্ব চাকরির ক্ষেত্রে স্থায়ী
আর অস্থায়ী পদ বলতে উভয়কেই স্থায়ী পদই বুঝায়! অর্থাৎ চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে
অবসরে যাওয়া পর্যন্ত একই পদের স্থায়ী/অস্থায়ী লোক সমান সুবিধা পাবেন! পেনশন সুবিধার ক্ষেত্রে কোন রকম তারতম্য
হয় না। দুটি ক্ষেত্রে প্রথমে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয় এবং পরবর্তীতে স্থায়ীকরণ
বা নিয়মিতকরণ করা হয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে অস্থায়ী পদগুলো নিয়মিতকরণ করার পর প্রতি
বছরই উক্তপদগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। একজন স্থায়ী ও অস্থায়ী রাজস্বপদগুলোর জন্য
আলাদা বেতন বিল তৈরি করা হয়। অস্থায়ীপদগুলো সৃষ্টির একটি প্রেক্ষপট
হিসাবে একটি উদাহরণ তুলে ধরছি, ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে দীর্ঘ সময়ের জন্য
কোন লোকবল দৈনিক ভিত্তিক, ওয়ার্কচার্জড বা মাস্টাররোল ইত্যাদির বেসিসে নিয়োগ করে
সাময়িক কাজ সম্পন্ন করা হয়। এটি যদি ৫-১৫ বছর পর পর্যন্ত চলতে থাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি
প্রয়োজনের তাগিদেও উক্ত জনবলগুলোকে অস্থায়ী পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগদান বা নিয়মিতকরণ
করে থাকে। |
০৫ |
বিভাগীয় প্রার্থী কারা? |
|
০৬ |
Care of'- এর বাংলা কী? সরকারি চাকরির পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ
করার সময় 'Care of'- এর জন্য কী লিখবো? |
এখানে আপনি যে ইংরেজি phrase টির উল্লেখ
করেছেন তা হলো care of যার বাংলা অর্থ প্রযত্নে — প্র ( প্রকৃষ্ট রূপে) যত্নবান/যত্নশীল। চিঠি পত্রে
care of এর স্থানে এমন কারো নাম দিবেন যেন পোস্টম্যান আপনাকে না চিনলেও ঐ বিশেষ ব্যাক্তিকে
চিনবে এবং আপনার মূল্যবান পত্রটি যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিবে। ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্নটি
করার জন্য। |
০৭ |
এমএলএসএস এর কাজ কি? |
এমএলএসএস শব্দের অর্থ হলো মেম্বার লোয়ার
সাব-অর্ডিনেট সার্ভিস । ২০১৪ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
আদেশ দ্বারা এমএলএসএস, পিয়ন, দফতরি, চাপরাশি, আর্দালি ইত্যাদি পদ পরিবর্তন করে অফিস
সহায়ক করা হয়। |
০৮ |
পিয়ন কী? পিয়ন এর কাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য |
পিয়ন /বিশেষ্য পদ/ পত্রবাহক; পেয়াদা,
বেয়ারা। ফাইল পত্র আনা-নেয়া করা, ফটো কপি করা,অফিস
নথীপত্র সংরক্ষন এবং পরিচছন্ন রাখা এবং অফিসের যাবতীয় কাজে সার্বক্ষনিক প্রয়োজনীয়
সহায়তা প্রদান। অফিসের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। প্রতিটি ডেস্কে বিশুদ্ধ
খাবার পানির বোতল সরবরাহ করা। সকলের উপস্থিতি স্বাক্ষর সংগ্রহ করা। |
০৯ |
অফিস সহায়ক এর কাজ কি? |
অফিস সহায়ক এর কাজ হচ্ছে তার উর্দ্ধতন
কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা৷ অভিষেক অর্থ অফিসের কাজে সহায়তা করা৷
অফিস সহায়ক পদের অর্থ থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় তাদের কর্মপরিধি বা কর্মের
ব্যক্তি কতটুকু এবং অফিসের কাজের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কোন কাজ করতে তারা বাধ্য
কিনা বা তাদের বাধ্য করা যাবে কিনা৷ |
১০ |
বেঞ্চ সহকারী কি |
বেঞ্চ সহকারীর ১৬ তম গ্রেড এর চাকরি।
মূলত বেতন গ্রেড এর ওপর নির্ভর করে বলা যায় এই পদে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সর্বনিম্ন
৯,৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ২২,৪৯০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক হিসেবে মাসে পেয়ে থাকে।
তবে হ্যাঁ, এটি ১৬ তম গ্রেড এর চাকরি হলেও আগের চাকরির শ্রেণীর দিক বিবেচনা করে এটি
তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ প্রতিষ্ঠানের
উপর ভিত্তি করে বেতন ভাতার অনেকটাই তারতম্য থেকে থাকে। পাশাপাশি বেতন-ভাতার সঙ্গে
বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ও অন্যান্য ভাতা প্রদান করা হয়। |
১১ |
সুইপার অর্থ কি |
সুইপার অর্থ হচ্ছে ঝাড়ুদার,ঝাড়ু দিয়ে
অফিসের কক্ষ ও বারান্দা পরিষ্কার রাখা হচ্ছে তাদের প্রধান কাজ।এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তারা
কাজের জন্য যা বলবেন তা তাকে করতে হবে। একজন সুইপার কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে
কাজ করেন? যে কোন ধরনের সরকারি/বেসরকারি/সামরিক অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী
কাজ করেন। একজন সুইপার কী ধরনের কাজ করেন? একজন
অফিস ক্লিনারের কাজ অফিসের রুম,আসবাব, টয়লেট সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। ফরাশ, ফরাস /বিশেষ্য পদ/ ভদ্রলোকের
উপযুক্ত ঢালাও বিছানা; যে ভৃত্য জিনিসপত্র ও বিছানা ঝাড়ামোছা করে পরিষ্কার রাখে ফরাস পদের কাজ কি? ফরাস অর্থ যে ভৃত্য জিনিসপত্র ও বিছানা
ঝাড়ামোছা করে পরিষ্কার রাখে। |
১২ |
Place of birth এ কি লিখতে হয়? |
জন্মস্থান ( পিওবি ) বা জন্মস্থান হল
সেই স্থান যেখানে একজন ব্যক্তির জন্ম হয়েছিল। এই স্থানটি প্রায়শই আইনী নথিতে ব্যবহার
করা হয়, নাম এবং জন্ম তারিখ সহ, একজন ব্যক্তিকে অনন্যভাবে সনাক্ত করতে। |
১৩ |
পোস্টাল অর্ডার কি? |
বাংলাদেশ সরকারের ডাক বিভাগ থেকে ব্যক্তি
বা প্রতিষ্ঠান বরাবর ইস্যুকৃত পূর্ব নির্দিষ্ট অর্থমূল্যের ভিত্তিতে ঐ নির্দিষ্ট
পরিমান অর্থ প্রদানের একটি আদেশ বিশেষ, যা পোস্টাল অর্ডার নামে পরিচিত। |
|
ট্রেজারি চালান কোথায় জমা দিতে হয়? |
প্রথমেই একটি তথ্য জানিয়ে রাখা ভালো
যে ট্রেজারি চালান ফরম বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়ে
থাকে। তাই ট্রেজারি চালান ফরম বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায়
জমা দেওয়া যাবে এই দুইটি নির্ধারিত ব্যাংক ব্যতীত কোন অন্য কোন ব্যাংকে ট্রেজারি
চালান জমা দেওয়া যাবে না। |
১৪ |
উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া প্রয়োজন? |
১. ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি থেকে ৫ ইঞ্চির জন্য ওজন থাকতে হবে ৪০-৫৮ কেজি;
এটি পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। আর নারীর জন্য ৩৬-৫৫ কেজি। ২. ৫ ফুট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪৮-৬০ কেজি ও নারীর ৪৫-৫৭ কেজি। ৩. ৫ ফুট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫০-৬০ কেজি ও নারীর ৪৬-৫৮ কেজি। ৪. ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫১-৬৩ কেজি ও নারীর ৪৮-৬১ কেজি। ৫. ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫২র ৬৬ কেজি ও নারীর ৪৮-৬৩ কেজি। ৬. ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৫-৬৮ কেজি ও নারীর ৫০-৬৫ কেজি। ৭. ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৬-৭০ কেজি ও নারীর ৫৩-৬৭ কেজি। ৮. ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৭-৭২ কেজি ও নারীর ৫৪-৬৯ কেজি। ৯. ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬০-৭৪ কেজি ও নারীর ৫৬-৭১ কেজি। ১০. ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৩-৭৬ কেজি ও নারীর ৫৭-৭২ কেজি। ১১. ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৫-৭৯ কেজি ও নারীর ৫৯-৭৩ কেজি। ১২. ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৭-৮১ কেজি ও নারীর ৬১-৭৫ কেজি। ১৩. ৬ ফুট পুরুষের ওজন ৬৯-৮৩ কেজি ও নারীর ৬৩-৭৭ কেজি। ১৪. ৬ ফুট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭১-৮৫ কেজি ও নারীর ৬৫-৭৯ কেজি। ১৫. ৬ ফুট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭৩-৮৭
কেজি ও নারীর ৬৭-৮১ কেজি। |
১৫ |
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য কী? |
সরকারি প্রতিষ্ঠান যে সকল প্রতিষ্ঠানের সব কিছু সরকার
পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণ , হস্তক্ষেপ করে সে গুলো হলো সরকারি।সরকারের অধীনেই পরিচালিত
হয় অর্থাৎ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের প্রত্যক্ষ
প্রভাব বিদ্যমান। সরকারি যে কোন আদেশ নিষেধ জারি করলে সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো তা
অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে। তাছাড়া আমরা পিওর সরকারি বা রাজস্বখাতভূক্ত প্রতিষ্ঠান
বলতে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেই বুঝে থাকি। তবে কেউ কেউ মনে করেন মাসিক পেনশন চালু রয়েছে
সে প্রতিষ্ঠানগুলোই সরকারি প্রতিষ্ঠান। মূলত ব্যাপারটি তেমন নয়, একটি রাষ্ট্রয়ত্ত
বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও শর্তসাপেক্ষে পেনশন চালু করা যেতে পারে তাই বলে সেগুলো
সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। হ্যাঁ একটি কথা স্পষ্ট করা বলা যায় যে, যে সকল প্রতিষ্ঠানের
শুরুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা থাকে সেগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান। “গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার” লেখা সম্পর্কিত লোগো এবং লেখাটি কেবল
সরকারি প্রতিষ্ঠানেই ব্যবহৃত হতে পারে। আরও একটি বিষয় পরিস্কার করা যায় যে, সরকারি
প্রতিষ্ঠানে পেনশন প্রথা চালু রয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা Autonomous Bodies যে সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণের
জন্য নিজস্ব রুলস ও রেগুলেশন রয়েছে ও এগুলোতে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না
সে গুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাজেটিং এর জন্য
সরকারের উপর নির্ভরশীল হতেও পারে, নাও পারে। কিছু কিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
শর্তপূরণ সাপেক্ষে কিছু পদে পেনশন সুবিধা চালু করেছে। তবে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে
মাসিক পেনশন চালু না থাকলেও আনুতোষিক সুবিধা চালু রয়েছে। আরও একটি কথা পরিস্কার যে,
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার” লেখাটি ব্যবহার করতে পারেনা। তাদের নিজস্ব লোগো রয়েছে এবং প্রতিটি
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বোর্ড বা বডি গঠন করা রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধান
কোন চেয়ারম্যান সেগুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। শর্তসাপেক্ষে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও
পেনশন সুবিধা চালু করার বিধান রয়েছে। |
১৬ |
পাবলিক প্রতিষ্ঠান কাকে বলে? |
যেসব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাজেটিং এর জন্য সরকারের উপর
নির্ভরশীল সেগুলো হলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান । পাবলিক প্রতিষ্ঠানে সরকার পরোক্ষ ভাবে
হস্তক্ষেপ করতে পারে।অর্থাৎ যেসব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সরকারের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ
রয়েছে সেগুলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দেশে মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩৮ টি
(আরো দুটি চূড়ান্ত), সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪ টি, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ০৪
টি (ঢাবি, জাবি, রাবি, চবি )। এছাড়া সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা
যুক্ত করে দেয়া হলো। |
|
সরকারি চাকরির আবেদনের সাথে জমা দেওয়ার
পেঅর্ডার ও ব্যাংক ড্রাফট এর মধ্যে পার্থক্য কী? |
ব্যাংক ড্রাফট হচ্ছে একটি পেমেন্ট পদ্ধতি।
যার মাধ্যমে প্রাপক কে নগদ টাকার পরিবর্তে ব্যাংক কর্তৃক চেকের ন্যায় পেমেন্ট করা
যায়। ব্যাংক ড্রাফট করা সহজ এবং অধিক নিরাপদ। সাধারণত আমাদের দেশে চাকুরী অথবা টেন্ডার
প্রভৃতি কাজে ব্যাংক ড্রাফট করা হয়। এর ব্যাংককে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন এবং ভ্যাট
দিতে হয়। ধরুন আপনি ঢাকায় আছেন, আপনি জনাব আব্দুল আলীমকে নগদ টাকা না দিয়ে উনার একাউন্টে
নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় নগদ টাকার পরিবর্তে ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে
পারেন। একে সংক্ষেপে ডিডি বা ডিমান্ড ড্রাফটস (Demand Draft's) ও বলে থাকে। যদি পে-
অর্ডার ইস্যুকারী ব্যাংক ও গ্রাহকের একাউন্ট একই বাঙ্কের ভিন্ন শাখায় হয় তবে- অনলাইন
বাঙ্কগুলো গ্রাহক পে- অর্ডার জমা দেওয়ার সাথে সাথেই পে করতে পারে। আর ব্যাঙ্ক যদি অনলাইন না হয়, সেক্ষেত্রে
ব্যাংক চাইলে ফোনের মাধ্যমে ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর পে করতে পারেন।
ফোন না করলে তাঁরা advice (ব্যাংকিং টার্ম) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন এবং টাকা জমা
করবেন। আর গ্রাহক যদি অন্য ব্যাঙ্কে পে- অর্ডারটি জমা করেন, তবে এই ব্যাংকটি টাকা
সংগ্রহের জন্য clearing house (যেখানে clearing house বসে, সাধারনত থানা পর্যায়ে,
যেখানে একাধিক ব্যাংক আছে, সেখানেই বসে)-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
তিন কার্যদিবস লাগবে। তবে এখন কিছু কিছু ব্যাংক এক দিনের মধ্যেও টাকা গ্রাহকের হিসেবে
জমা করে। সেক্ষেত্রে প্রথম ক্লিয়ারিং হাউজ (দিনে দুবার ক্লিয়ারিং হাউজ বসে) বসার
পূর্বেই প্রাহক কে তার হিসাবে পে - অর্ডারটি জমা করতে হবে। যেখানে ক্লিয়ারিং হউসে
বসে না সেখানে সময় বেশি লাগে, তা দুই দিন থেকে এক মাসও হতে পারে (ডাক বা কুরিয়ার
- এর উপর নির্ভর করতে হয়)। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি বলা যায়, ব্যাংক ড্রাফট,
পে-অর্ডারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ত্বরিত পদ্ধতি। |
|
|
|
QnA
Tags:
QnA